৯৯৯ নম্বরে কনের চাচা সাইদুল ইসলামের ফোন। অতঃপর বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি পেলো মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার
মোহাম্মদপুর গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে কনের বাবা সৌরব হোসেন ও বর হেলাল উদ্দীনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (৮ মে) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত
বসিয়ে এ দণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী খানম।
তিনি জানান, উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের এনামুল হকের ছেলে হেলাল উদ্দীন (৩২) চতুর্থবারের মতো বিয়ে করতে যান মোহাম্মদপুর
গ্রামের মানিকনগর পাড়ার সৌরব হোসেনের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে। শনিবার গভীর রাতে কাজী ডেকে
বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে উভয় পরিবার। কিন্তু তাতে রাজি হননি ওই কাজী।
এ অবস্থায় বর ও কনেকে একটি গাড়িতে তুলে অন্য কোনো জায়গায় নিয়ে মৌলভি দিয়ে বিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করেন তারা।
ইউএনও মৌসুমী খানম বলেন, বাড়ি থেকে গাড়িটি বের হলে পথেই গতিরোধ করেন কনের চাচা সাইদুল ইসলাম।
বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিয়ে চেষ্টা করেন বিয়ে বন্ধের। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।
অবশেষে ট্রিপল ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন তিনি। তার কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে হাজির হয় স্থানীয় কুমারিডাঙ্গা ক্যাম্পের
পুলিশের একটি দল। বন্ধ করা হয় বিয়ে। পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় বর হেলাল উদ্দীন,
বরের বাবা এনামুল হক ও কনের বাবা সৌরব হোসেনকে। কনেকে পৌঁছে দেওয়া হয় বাড়িতে।
রোববার দুপুরে তাদের হাজির করা হয় গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে। পরে কনের বাবা সৌরব হোসেনকে
সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বর হেলাল উদ্দীনকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।