প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শিল্পী বেগম নামের এক নারী। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে টয়লেটের কমোডে সন্তান প্রসব করেন তিনি।
এ সময় সদ্যজাত শিশুটি কমোডের ভেতর পড়ে যায়। জানার পর পৌনে দুই ঘণ্টা চেষ্টায় পাইপ কেটে নবজাতককে উদ্ধার করেন তার বাবা।
শনিবার (৭ মে) বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
প্রসূতি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। শিল্পী বেগম পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠির গণমান শেখপাড়া এলাকার নেয়ামত উল্লাহর স্ত্রী।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের প্রধান ডা. খুরশিদ জাহান হক জাগো নিউজকে বলেন,
শনিবার দুপুরে ৩২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা শিল্পী বেগমকে তার স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর স্বাভাবিক ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা করা হয়।
বিকেলে তার প্রসব বেদনা ওঠে। ওই সময় তিনি এক নারী স্বজনকে সঙ্গে করে বাথরুমে যান। একপর্যায়ে সেখানেই তার প্রসব হয়।
কিন্তু প্রসব ব্যথায় কাতর শিল্পী বেগম তা টের পাননি। প্রসবের পর নবজাতক টয়লেটের কমোডের ভেতর পড়ে যায়।
টয়লেট থেকে বের হওয়ার আগে শিল্পী বেগম পানি ব্যবহার করেন। ঠিক এ সময় নবজাতক কান্না করে ওঠে।
ডা. খুরশিদ জাহান আরও বলেন, তখন শিল্পী বেগমের সঙ্গে থাকা এক স্বজন চিৎকার দিয়ে ওঠেন এবং ওয়ার্ডে কর্তব্যরত
নার্স ও স্টাফদের বিষয়টি জানান। পরে দ্রুত টয়লেটের কমোডে কিছু অংশ ও পাইপ ভেঙে নবজাতককে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
ডা. খুরশিদ জাহান হক বলেন, নির্ধারিত সময়ের আট-নয় সপ্তাহ আগেই কন্যা শিশুটির জন্ম হয়েছে। শিশুটির ওজন মাত্র ১ কেজি ২০০ গ্রাম।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, প্রসূতি শিল্পী
বেগম হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। আর নবজাতককে এনআইসিইউতে (নবজাতক নিবিড় যত্ন ইউনিট)
রাখা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তবে নবজাতক ও তার মা দুজনই ভালো আছেন।