ময়মনসিংহের নান্দাইলে ফুটবলার কিশোরী ধর্ষণ নাকি ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন জানতে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ওই কিশোরীর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ওই কিশোরী ধর্ষণ নাকি ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন বিষয়টি নিশ্চিত হতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল ফকিরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে পৌর শহরের নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের পেছনে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল ওই ফুটবলার কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায় শনিবার (২৩ এপ্রিল) ওই নারী ফুটবলার নিজে বাদী হয়ে ফয়সাল ফকির ও তার দুই সহযোগীকে অভিযুক্ত করে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
তবে সোমবার (২৫ এপ্রিল) ওই কিশোরী ফুটবলারের অভিযোগ পুলিশ ধর্ষণ মামলা হিসেবে রুজু না করে ধর্ষণচেষ্টার মামলা রুজু করে বলেও অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ওইদিন দুপুর দুইটার দিকে নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ফকিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার মো. ফয়সাল ফকির উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি পৌর শহরের পাছপাড়া গ্রামের লাল মিয়া ফকিরের ছেলে।
ভিক্টিম জানায়, ফয়সাল পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় আগে থেকেই পরিচিত। ঘটনার দিন সকালে ফয়সাল ফোন করে বলে, উপবৃত্তির ফরমে স্বাক্ষর দিতে হবে।
তাড়াতাড়ি নান্দাইলের শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজে এসো। এমন কথা শুনে সরল বিশ্বাসে আমি কলেজের গেটে গিয়ে তাকে ফোন করি।
ফোন করলে আমাকে কলেজের পেছনে যেতে বলে। আমি কলেজের পেছনে যেতেই মুখ চেপে ধরে ফয়সাল।
এ সময় চিৎকার করলে আশপাশে দু’তিন জন মানুষ আসতে চাইলে ফয়সাল তাদের চাকু দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিলে তারা চলে যায়।
এ সময় কলেজের পিয়ন আব্দুর রহিম আমার চিৎকার শুনে কাছে আসতে চাইলে তাকেও চাকু দেখিয়ে ভয় দেখালে তিনিও সেখান থেকে চলে যান।
পরে ফয়সাল ও তার দুই সঙ্গী আমাকে কলেজের পুরাতন বিল্ডিংয়ে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় তার সঙ্গীরা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের পর চলে যেতে চাইলে ফয়সাল কাউকে এই ঘটনা জানালে ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
পরে সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে মা বাবাকে বিষয়টি জানালে পরদিন শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করি।