রাজধানীর কলাবাগান তেঁতুলতলা মাঠে যে থানা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে যদি সরকার নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলে সেক্ষেত্রে ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ বন্ধ করে দেবে। পুলিশ কোনো ব্যক্তি কিংবা কোনো সংস্থার জমি দখল করে থানা ভবন নির্মাণ করছে না।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স
বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজধানীর কলাবাগান তেঁতুলতলা মাঠে যে থানা নির্মাণ করা হবে সেই জমিটি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জমিটির মালিক।
এখানে থানা ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়ার পর সরকারের কেন্দ্রীয় ভূমি অধিগ্রহণ কমিটি সমস্ত নিয়ম ও আইন-কানুন মেনে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে এই জমিটি অধিগ্রহণ করা হয়।
ঢাকা জেলা প্রশাসন জমিটি অধিগ্রহণ করে। তারা সরেজমিনে বুঝিয়ে দেয় থানা নির্মাণের জন্য। জমির বিনিময়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ বাবদ সরকারকে দেয়।
এরপর সরকার থানা নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়। অর্থ বরাদ্দের পর থানা ভবনের প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এই জমিটি কোনো ব্যক্তি অথবা সংস্থার নয়।
বিভিন্ন মিডিয়াতে সংবাদের কারণে জনসাধারণের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে, তেঁতুলতলা মাঠটি দখল করে থানা নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল।
এটি সরকারি জমি, সরকার অধিগ্রহণ করে ডিএমপিকে দিয়েছে কলাবাগান থানা ভবন নির্মাণের জন্য।
পুলিশ জনগণের বন্ধু। আশপাশের দীর্ঘদিন ধরে যারা মাঠকেন্দ্রিক বসবাস করে আসছেন তারা চাচ্ছেন মাঠটিতে কোনো ভবন যেন নির্মাণ করা না হয়।
শিশুরা মাঠে খেলাধুলা করুক। পুলিশ নৈতিকভাবে এ বিষয়ে কীভাবে সিদ্ধান্ত নেবে? জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন,
খেলার মাঠের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা পুলিশ অস্বীকার করছে না। ঢাকা মেট্রোপলিটনের মধ্যে কোথায় খেলার মাঠ থাকবে বিষয়টি পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত না।
সিটি করপোরেশন সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় খেলার মাঠ হবে। তেঁতুলতলা মাঠের পাশেই কলাবাগান খেলার মাঠ রয়েছে।
মাঠটি উন্মুক্ত সেখানে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারে। খেলাধুলার পাশাপাশি সেখানে পূজা অর্চনাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।