গাইবান্ধায় পিকআপ ট্রাক চালক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পদক আবুল কালাম আজাদকে মারধরের প্রতিবাদে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা।
রবিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১০ টার দিকে গাইবান্ধার বাস টার্মিনাল এলাকায় অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
এতে গাইবান্ধা শহরের রাস্তাগুলোতে যানজটে ৩ ঘন্টা ধরে উপচে পড়া ভিড়ে জনসাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।
পিকআপ ভ্যানচালকরা জানায়, শনিবার শহরের নাসা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক উপেন চন্দ্রের গাড়ি তার বাসার সামনের রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করানো ছিল।
এ সময় রিপন নামে এক পিকআপ ভ্যানচালক গাড়ি নিয়ে ওই পথে যাচ্ছিলেন।
এ সময় পিকআপ চালক ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িচালক সৌরভকে গাড়ি সাইড করানোর জন্য হর্ণ দেয়। সৌরভ পিকআপ চালকের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং পিকআপের ডোর গ্লাস ভেঙে দেয়।
এমনকি পিকআপ চালকের জামার কলার ধরে গাড়ি থেকে টেনে নামানোর চেষ্টা করেন। পরে পিকআপ চালক বিষয়টি তাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে জানান।
আজ সকালে আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক উপেন চন্দ্রের বাসায় যান।
এতে ম্যাজিস্ট্রেট আজাদের ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ির চালক ও দেহরক্ষী তাকে মারধর করেন। লাঠির আঘাতে আজাদের চোখের ওপরের অংশ ফেটে রক্ত পড়তে থাকে।
পরে বেলা ১১টার দিকে জেলার পিকআপ শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে গাইবান্ধা বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় বাস টার্মিনাল এলাকার উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
দুপুর ১টার দিকে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু লাইস মো. ইলিয়াস জিকু ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে পিকআপ চালক সংগঠন।
পরে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।