বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের
ঘটনায় হেলমেটধারী প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার ও প্রায় ২৪ জন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতার নাম উল্লেখ করে প্রায় ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমরা মনে করি, অবৈধ সরকার আবার সেই পুরনো খেলায় মেতে উঠেছে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনে নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের পর দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনা তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার টানা দুই দিনের সংঘর্ষ বন্ধ করতে না পারায় পুলিশের উদাসীনতাকে যখন জনগণ দায়ী করছে, সেই সময়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির
নিরপরাধ নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার ও অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আড়াল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বেরিয়েছে হামলাকারীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অন্তত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে যারা ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এটাও স্পষ্ট যে প্রধানত চাঁদাবাজির কারণে এবং নিজেদের প্রভাব বিস্তারে ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের ভয়াবহ সন্ত্রাসীরা এ ঘটনার জন্য দায়ী।
শুধু এ ঘটনাই নয়, নিউ মার্কেটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই শাসকগোষ্ঠীর ছত্রচ্ছায়ায় ব্যাপক চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশের সহায়তায় সেখানে অপরাধ জগৎ গড়ে তুলেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণমাধ্যমের রিপোর্টিংয়ে বেরিয়ে এসেছে, এই পুরো এলাকাটা ইনক্লুডিং টিচার ট্রেনিং সেন্টার, হোস্টেল সবগুলোই ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে।
এমনকি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের বরাদ্দকৃত যে রুম, সেই রুমও তারা সাবলেট করে ভাড়া দেয়। এটাও রিপোর্টে এসেছে।
তিনি বলেন, আবার এটাও এসেছে, ছাত্রলীগের সুনির্দিষ্ট কমিটি না থাকার কারণে অনেকগুলো গ্রুপ আছে। সেই গ্রুপগুলোর বিরোধের কারণে এসব ঘটনা প্রায়ই ঘটে।