নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে ৪ বছরের শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়াকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মো. রিমন (২৩) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়,৭ নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম আসামি রিমনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জবানবন্দি রেকর্ডের পর আদালতের নির্দেশে আসামিকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি বিডি২৪লাইভকে নিশ্চিত করেন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামিকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত,গত ১৩ এপ্রিল বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় বাবার কোলে থাকা শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া।
গুলিবিদ্ধ হন শিশুটির বাবা সৌদি প্রবাসী মাওলানা আবু জাহেরও। গুলিতে তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন তাসপিয়ার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে রিমন, মহিন, বাদশাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মামলার প্রধান আসামি শ্যূটার রিমনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব- ১১।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সকালে সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে
আমলি আদালত-৩ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ৪ আসামিকে পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।রিমান্ডকৃত
আসামিরা হলেন- সোহেল উদ্দিন মহিন (২৪), সুজন (২৬), নাইমুল ইসলাম (২১) এবং আকবর হোসেন (২৬)।
এর আগে ঘটনার পরপরই পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এরা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ৮নং ওয়ার্ডের আবদুল মালেকের ছেলে
জসিম উদ্দিন (২৬), এমাম হোসেন ওরফে স্বপন (৩০), জসিম উদ্দিন ওরফে বাবর (২৩) ও দাউদ নবী ওরফে রবিন (১৭)। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।