নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে দিনাজপুরে সড়ক অবরোধ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। একইসঙ্গে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন তারা।
বুধবার (২০ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টায় টার্মিনালের সামনে দিনাজপুর-রংপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে বাস দিয়ে বেরিকেড দেন পরিবহন শ্রমিকরা।
এতে সড়কের দুইপাশে আটকা পড়ে বিভিন্ন পরিবহন। এছাড়া ভোর থেকে বাসস্ট্যান্ডে এসে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। পরিবহন না পেয়ে বাড়ি যেতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।
দিনাজপুর পৌর শহরের কলেজ মোড়ের বাসিন্দা মুশিদ হোসেন বলেন, সকালে বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি কোনো বাস নেই।
পরে কেন্দ্রীয় বিআরটিসি বাস ডিপো ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখি তারাও গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছে। আমাকে জরুরিভাবে রংপুরে যেতে হবে। বিকল্প কোনো যানবাহনও পাচ্ছি না। এখন কী করবো বুঝতে পারছি না।
ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন বিআরটিসি ট্রাক চালক শাহজাহান। কিন্তু অবরোধে আটকা পড়েন তিনি।
শাহজাহান বলেন, রাত দেড়টা থেকে আটকে আছি। ঢাকায় চাল নিয়ে যেতে হবে। কখন যে সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হবে তাও জানি না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে দিনাজপুর শহরের বালুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে এক যাত্রীকে বাসে তুলেন নেন এক বাস হেলপার।
এ নিয়ে স্ট্যান্ডে থাকা সিএনজিচালকরা ওই হেলপারকে মারধর করেন। পরে বাসস্ট্যান্ড শাখা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক
মো. ডাব্লু এগিয়ে এলে তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে তার মাথায় আঘাত করেন সিএনজিচালকরা।
বাস চালক রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের নেতাকে মারধরকারী সিএনজিচালকদের গ্রেফতারের দাবিতে আমরা রাত থেকে সড়কে বাস রেখে অবরোধ করেছি।
এছাড়া সকাল থেকে দিনাজপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কোনো ধরনের বাস ছেড়ে যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাকিম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এক শ্রমিক নেতাকে মারধর করা হয়েছে।
তাই আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছি। আমরা বসে আলোচনা করে পরবর্তীতে কর্মসূচির বিষয়ে জানাবো।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ আনা হয়েছিল।
তা আমরা গ্রহণ করেছি। তারা কী কারণে আন্দোলন করছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।