নিউমার্কেটসহ ওই এলাকার সব বিপণিকেন্দ্র খুলছে। ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে ২ দিন বন্ধ ছিল নিউমার্কেট।
দুদিনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে সমঝোতায় পৌঁছেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা। ‘
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) প্রথম প্রহরে শুরু হয়ে চার ঘণ্টার বৈঠক শেষে সমঝোতা হওয়ার কথা জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।
ক্রেতাদের মাঝে কতটা স্বস্তি ফিরেছে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। রাজধানীর নিউমার্কেট যেখানে কাপড়-চোপড়, ঔষধ, টয়লেট সামগ্রী ও গৃহস্থালি ব্যবহারের টুকি-টাকি দ্রব্যাদি বিক্রয় হয়।
এছাড়া, বেশ কয়েকটি দোকানে বিক্রয় হয় প্রসাধনী সামগ্রী, স্যুভেনির ও শোপিস সামগ্রী, তৈজসপত্র, হালকা বৈদ্যুতিক দ্রব্য ও আসবাবপত্র। মার্কেটটির উত্তর দিকে মুদির দোকান এবং মাছ, মাংস, ফল-মূল ও সবজির বাজার রয়েছে।
দুই দিনের এই সংঘর্ষের পর ব্যবসায়ীদের মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এর থেকে বড় কথা ক্রেতাদের মাঝে ভয় কাজ করছে এখনও।
রাজধানীর টোকিওস্কয়ারে শপিং করতে আসা ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমরা প্রতিবছর নিউমার্কেট থেকে ঈদের বাজার করি।
এবার ছাত্রদের মারামারি ঘটনার পর সেখানে বাজার করতে ভয় পাচ্ছি। আবার কখন সংঘর্ষ বাধে সেটা তো নিশ্চিত না।
আমি শুনেছি এই মারামারিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা পরিবার নিয়ে মার্কেটে যায়, পরিবারের নিরাপত্তার কথাও ভাবতে হয় আমাদের।
অন্যদিকে নেহাল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে নিউ মার্কেটসহ ওই এলাকার সব বিপণিকেন্দ্র খুলবে।
আর ছুটির মধ্যে ছাত্রদের হলে থাকার বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। বৈঠকের পর আর কোনো বিভেদ থাকবে না বলে আশা করছি।
আজ সকাল থেকে নিউমার্কেটসহ আশপাশের সব মার্কেট ও দোকানপাট খুলবে। কলেজ যেহেতু আজ থেকে সরকারিভাবে বন্ধ, সেহেতু ছাত্রদের হলে থাকার বিষয়টিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
বুধবার মধ্যরাতে সমঝোতা বৈঠকে যাওয়ার আগে ১০ দফা দাবি তুলে সংবাদ সম্মেলন করে কলেজ ও ছাত্রাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত অমান্য করেই ছাত্রাবাসে থাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সেখানে ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবির সঙ্গে ওই এলাকায় পদে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবিও ছিল।