সাভারের আশুলিয়ায় হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কটি হাঁটুপানিতে ডুবে গেছে। এতে করে ব্যস্ততম এই সড়কের যানজটের সৃষ্টি হয়।
এতে করে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষরা চরম জনদুর্ভোগে পড়েছে।বুধবার (২০ এপ্রিল) ভোর রাত থেকে টানা বর্ষণে রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে।
পানিতে ডুবে যাওয়ায় টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কে সকাল থেকে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এই মহাসড়কের বিশেষ করে বাইপাইল , ইউনিক, শিমুলতলা ও জামগড়া এলাকায় চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
এই যানজটে আটকে গাড়িগুলোকে ধীরগতিতে চলতে দেখা যায়। মহাসড়কের পাশে বেশ কিছু দোকানেও পানি উঠে যায়। শুধু তাই না, আশে- আশের কয়েকটি আবাসিক এলাকাতে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
এই মহাসড়কে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কে এমন করুণ দশায় পরিনত হয়েছে। বিষয়টি দীর্ঘদিনের সমস্যা। দাবী জানিয়েও কোন সমাধান হচ্ছে না, বলে জানান দুর্ভোগে পড়া যাত্রী ও সাধারণ মানুষের।
এই সড়ক দিয়া চলাচলরত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা কখনোই এই সড়কে শান্তিতে চলাচল করতে পারি না। বৃষ্টি আসলে তলিয়ে যায়, আর বৃষ্টি পানি শুকিয়ে গেলে সৃষ্টি হয় খানাখন্দে।
যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। এই মহাসড়কের অংশটি এখন আমাদের সবার জন্য মরণ ফাঁদ! এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে, পানি ঢুকে যানবাহন বিকল হচ্ছে।
আবার সতর্ক হয়ে অনেক ধীর গতিতে যানবাহন চলাচলের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
জলবদ্ধতা ও সৃষ্ট যানজটের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা জেলা (উত্তর) ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আব্দুস সালাম বিডি২৪লাইভকে বলেন, হটাৎ টানা বর্ষণের কারণে সড়কে হাঁটু সমপরিমাণ পানি জমে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আবার ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে,যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং করে যাত্রী উঠা-নামা করায় এই যানজট সৃষ্টির মূল কারণ। তবে যানজট নিরসনের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে
এব্যাপারে ঢাকা সড়ক বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মারুফ হাসান জানান,পানি নিষ্কাসনে কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ।
তবে সড়ক ও জনপথের পানি নিষ্কাসনের যে ড্রেন ব্যবস্থা রয়েছে, তারমধ্যে অবৈধভাবে আসাবিক ও ফ্যাক্টরি ড্রেন লাইন যুক্ত করা করেছে অসাধু চক্র।
যার ফলে ড্রেনের পানির উপচে পড়ে সড়কে জলবদ্ধতা সৃষ্টির মুল কারণ। তবে সব বিষয়গুলো উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আমরা পানি নিষ্কাসনে সর ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।
এদিকে স্থানীয় ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ আহাম্মদ মাস্টার ভুইঁয়া বিডি২৪ লাইভ ডটকম কে বলেন ‘মহাসড়কের এই স্থানে পানি জমায় সবাই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় অনেকেই আমার কাছে আসেন। মহাসড়কের দায়িত্ব যে পরিষদের নয় সওজের তা জানিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করি। তারপরও কেউ কেউ আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন।’
এবিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, জলাবদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে সম্বলিতভাবে সব দপ্তরকে নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
যাতে স্থায়ী সমাধান হয়। মানুষের দুর্ভোগ লাগবে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।