মসজিদে চুরির ঘটনায় স্থানীদের হাতে ধরা পড়েন ফোরকান (৩৮) নামের এক যুবক। এ ঘটনায় বসা সালিশে কাজি ডেকে ফোরকানকে তালাক দিয়েছেন তার স্ত্রী মাসুমা বেগম।
শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, প্রথম পক্ষের স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর ২০০৭ সালে বেতাগীর সরিষামুড়ি ইউনিয়নের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে ফোরকানে সঙ্গে তালতলীর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী আবাসেনর মাসুমা বেগমের বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা বড়ইতলী আবাসনে বসবাস করে আসছিলেন।
২৫ মার্চ দিনগত রাতে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের দুটি মসজিদ থেকে তিনটি সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি চুরি হয়। সকালে ছোট বগী খেয়া ঘাট এলাকায় চুরি হওয়া ওই ব্যাটারিসহ স্থানীয়দের হাতে আটক হন ফোরকান। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মসজিদ কমিটির কাছে চুরির সত্যতা শিকার করেন তিনি।
চুরির বিষয়টি নিয়ে দুপুরে বড়ইতলী আবাসনে সালিশ বৈঠক বসে। চুরি করা ব্যাটারিগুলো মসজিদ কমিটিকে ফেরত দেন ফোরকান। বৈঠকে চুরির অভিযোগে স্বামীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী মাসুমা বেগম। এরপর স্থানীয় কাজি মহিবুল্লাহকে ডেকে স্বামী ফোরকানকে তালাক দেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জমাদ্দার জাগো নিউজকে বলেন, সকালে চুরির বিষয়টি মুসল্লিদের মাধ্যমে জানতে পারি। পরে স্থানীয়রা চোরকে আটক করে আমাকে খবর দেয়। দুপুরে সালিশ বৈঠক বসায়। এ সময় চুরির ঘটনায় কাজি ডেকে স্বামীকে তালাক দেয় স্ত্রী।
স্ত্রী মাসুমা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, যে স্বামী আল্লাহর ঘর থেকে চুরি করতে পারে তার সঙ্গে ঘর-সংসার করা যায় না। এজন্য কাজি ডেকে তাকে তালাক দিয়েছি।
কাজি মুহিব্বুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, শরীয়ত মোতাবেক মাসুমা বেগম তার স্বামী ফোরকানকে তালাক দিয়েছেন।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু জাগো নিউজকে বলেন, থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।