সিলেট জেলা বিএনপির স্থগিত হওয়া সম্মেলন আগামী ২৯ মার্চ হবে। এতে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে সরকারি আলিয়া নাকি রেজিস্ট্রারি মাঠে এই আয়োজন হবে- এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। অধিকাংশের পছন্দ সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার যুগান্তরকে এ তথ্য দেন।
জেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল গাফাফার জানান, ২৯ মার্চ সম্মেলন ও কাউন্সিল আয়োজনে কেন্দ্রের সম্মতি পাওয়ার পর জোর প্রস্তুতি চলছে। একের পর এক বৈঠকে চলছে এ আয়োজন সফল করার লক্ষ্যে।
তিনি জানান, জেলার তিনটি শীর্ষ পদে এখন ৯ জন প্রার্থী লড়বেন।
সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে কেন্দ্রের লিখিত নির্দেশনা আসার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একের পর এক বৈঠকে বসেন দলের দায়িত্বশীল নেতারা।
বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন, সম্মেলন আর পেছানোর আশঙ্কা নেই।
গত ২১ মার্চ জেলা বিএনপির বহুল প্রত্যাশিত সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। রোববার কেন্দ্র থেকে ‘অনিবার্য কারণবশত’ সম্মেলন স্থগিত করা হয়। এক্ষেত্রে সময়মতো ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়াকে কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন বিএনপি নেতারা। নাটকীয়তার পরের পর্যায়ে আরেক দফা যোগ হয়েছে জেলা বিএনপির সভাপতিপ্রার্থী সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং শেষপর্যায়ে কামরুল হাসান শাহীন, শাকিল মোর্শেদের প্রার্থিতা বাতিল।
এর আগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুল আহাদ খান জামালের প্রার্থিতা বাতিল করে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন। তবে ওই দিন বাতিল হয়নি কামরুল হাসান শাহীন ও শাকিল মোর্শদের প্রার্থিতা।
জেলা বিএনপির এ সম্মেলনকে ঘিরে এ নাটকীয়তায় বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানান, ভোটার তালিকা যারা করেছেন তাদের কর্মকাণ্ডের বলি হয়েছেন দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মীরা।